Responsive Menu
Add more content here...

Hotline: 01796227200, 01712-077200 , ssib.rubd1@gmail.com

Department of Food and Nutritional Science

পুষ্টি বিজ্ঞানের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু খাদ্য ও পুষ্টি। মানব জীবনের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার অপরিহার্য। খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত চর্চা বা গবেষণা নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা গড়ে উঠেছে তাকেই খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বলে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উচ্চ শিক্ষার বিষয় হিসেবে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানকে পছন্দের তালিকায় ভাবছেন এই প্রজন্মের তরুণ শিক্ষার্থীরা।
খাদ্য সম্পর্কিত সমস্ত ব্যবস্থাপনা ও প্রায়োগিক শিক্ষাই হলো খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান। খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের একটি অতি আধুনিক শাখা। তুলনামূলকভাবে নবীন হলেও, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি, খাদ্যতালিকা ও খাদ্যাভ্যাস-এর নির্দেশিকাগুলি আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক গবেষণা, প্রকল্প, অধ্যয়নের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান ও আগামীর টেকসই উন্নয়ন জনস্বাস্থ্যে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান অধ্যয়ন, এই বিষয়ে বিস্তর গবেষণা ও গুণসম্পন্ন স্নাতক তৈরীর গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাইভেট ইনস্টিটিউট শহীদ শামসুজ্জোহা ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অধীনে ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু করে। ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগে যত বেশি স্নাতক তৈরী হবে, আমাদের বিশ্ব ততই টেকসই উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। এছাড়া পুষ্টি সমস্যার সমাধান, ভিটামিন, প্রোটিন, আয়োডিন ও আয়রনের অভাব দূর করার জন্য আমাদের দরকার পুষ্টি শিক্ষা, উন্নত খাদ্যপ্রযুক্তি আর এসব বিষয়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও প্রায়োগিক শিক্ষাই হলো ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স।

কাজের ক্ষেত্র: ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগে ডিগ্রী অর্জনের পর দেশের বড় বড় ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দ্রুতগতিতে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই পেশায় কাজের সুযোগ। বড় বড় ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি, ন্যাশনাল, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, ফিটনেস সেন্টার, এক্সারসাইজ ফিজিওলজিস্ট, ফুড সায়েন্স রিসার্চার, হোম ইকোনমিস্ট, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বড় বড় রেঁস্তোরা, ক্যাটারিং সংস্থা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র: খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও যেমন ঋঅঙ, ঋউঅ, ডঐঙ, টঘউচ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে যে সব বিভাগে কাজের সুযোগ পাবেন সেগুলো হচ্ছে- ফুড প্রসেসিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউট্রিশন ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল। পুষ্টিবিদ্যা পড়ে সরকারি ও বেসরকারি হাঁসপাতাল, বহুজাতিক সংস্থা, স্কুল, নিজস্ব ক্লিনিক, ফিটনেস সেন্টার, ডায়াবেটিক ক্লিনিক ইত্যাদি সংস্থায় চাকরি পাওয়া যায়।

ক্যারিয়ার: একজন পুষ্টিবিদ ক্যারিয়ারের শুরুতে আনুমানিক মাসিক ৩৫,০০০-৫০,০০০ টাকা বেতন পেতে পারেন। এছাড়া, পুষ্টিবিদদের বার্ষিক আয় নুন্যতম ৪ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স পেশায় সহজেই আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এভাবেই বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। তাছাড়া আগামী ২ থেকে ৫ বছরে বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টর বাড়বে ১০ শতাংশেরও বেশি। সুতরাং ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স এ ক্যারিয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়।
চাহিদা ও ভবিষ্যত: বর্তমান সময়ে শুধু নিজ দেশেই নয়, বিশ্বের উন্নত দেশেও খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানের উপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে বিশ্বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। তাই খাদ্যের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হলে ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিষয়ের উপর যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে খাদ্যের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব। শুধু খাদ্যের নিশ্চয়তার দিকে জোর দিলেই হবে না, পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগে ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষার্থীরাও গড়তে পারেন সফল ক্যারিয়ার।

কাজের ধরণ: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির প্রতিটি ধাপ যাতে বিধিসম্মতভাবে সম্পূর্ণ করা হয় এবং বিএসটিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি খাবারের খাদ্যমান নিশ্চিত করা যায়, সেটা দেখাই এই সেক্টরে কাজের প্রধান দায়িত্ব। মূলত কাঁচামাল ঠিকমতো সরবরাহ হচ্ছে কি না, পক্রিয়াকরণে কোনো ফাঁক থেকে যাচ্ছে কি না, দরকারি যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেগুলোর ঠিকমতো দেখাশোনা হচ্ছে কি না, খাবারে ভুলবশত কোনো অবাঞ্চিত বস্তু মিশে যাচ্ছে কি না, খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকছে কি না, এই ব্যাপারগুলোর উপর লক্ষ্য রাখাই পেশাদার ফুড টেকনোলজিস্ট এর কাজ। কাজের মূল বিভাগগুলো হলো ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রসেসিং, প্রিজার্ভেশন, প্যাকেজিং এবং ক্যানিং।

একজন ফুড সায়েন্টিস্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?: ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের যুগে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেজন্য ফুড প্রসেসিং কারখানার সংখ্যা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী দু’বছরে দেশে খাদ্য প্রক্রিয়ার কারখানা দশ শতাংশ বেড়ে যাবে যেখানে ফুড সায়েন্টিস্টদের কাজের সম্ভাবনা রয়েছে অসীম। তাই চাইলে আপনিও এই পেশায় আপনার ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবতেই পারেন নিশ্চিন্তভাবে যেখানে থাকবে উন্নত বেতন ভাতা ও সম্মান।

ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগ থেকে পড়ালেখা করে স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটসহ স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে কিংবা মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। ফুড এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগে ডিগ্রিধারীদের আইসিডিডিআরবি, ইউনিসেফের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে যেমন কাজ করার সুযোগ রয়েছে, তেমনি ব্র্যাক, আশা, প্রশিকার মতো দেশি এনজিওতেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েটিশনিস্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পুষ্টিবিদদের থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, ফিশ এন্ড এনিমেল ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমান সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিবিধ যন্ত্রকৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে ভেজালমুক্ত সুষম খাদ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাবরেটরি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে খাদ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করে বাজারজাত করার জন্য দেশে বহু প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। অপার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রাতিষ্ঠানিক, তত্ত্বীয় ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অনেকেই খাদ্য প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের কর্মক্ষেত্র গড়েছেন। বিশেষ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, খাদ্য ও পণ্যমান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি কলেজে চাকরির সুযোগ আছে। এছাড়া বিসিএস, বিভিন্ন পুষ্টিবিদ হাঁসপাতাল, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, এনজিও, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ আছে। এই সাবজেক্ট নিয়ে দেশের বাইরেও স্কলারশিপ এর সুযোগ রয়েছে। যারা স্কলারশিপ পাবেন তারা বিদেশের বিভিন্ন ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবেন।

Contact Address

Holding no-127, Katakhali, Rajshahi-6212
North side from Rajshahi to Dhaka Highway.
Mobile no: 017962277200, 01712077200
Email: SSIB.rubd1@gmail.com
Institute Code: 410

© All rights reserved © ssib

Developed by Mizanur Rahman